মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হওয়ার আঠার দিন আগ থেকে লবণচরা খান মেজর অটো রাইচ মিল থেকে নিম্নমানের চাল বাজারজাত হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর বাজেয়াপ্ত করার পরও মিল থেকে তিনশ’ মেঃ টঃ চাল দেশের পাঁচটি স্থানে বিক্রি করা হয়েছে। মিলের চত্বরে অবশিষ্ট চালের নিরাপত্তায় কোন পদক্ষেপ আজও নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, মিল থেকে গত আঠার জুন সাতক্ষীরা-ট- ১১০৫৫২, একই দিনে খুলনা মেট্রো-ট ১১-১০৬৩, উনিশ জুন ঢাকা মেট্রো-ট ১৪-৪৫৬৪ এবং বিশ জুন খুলনা মেট্রো-ট ১১-৪৬৭৭ নম্বর ট্রাকযোগে চাল মিল থেকে বের করে বাজারজাত করা হয়। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও নগরীর বড় বাজারে চাল বিক্রি করা হয়। পনের ট্রাক চাল মিল থেকে পাচার হয়েছে। প্রতি ট্রাকে বিশ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়ার সহকারী পরিচালক মোঃ বজলুর রশীদ গত ৭ জুলাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, রাসায়নিক পুনঃপরীক্ষা ছাড়া পনের ট্রাক চাল বাজারজাত করা হয়েছে বলে অনুমেয়।
গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় খুলনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে র্যা ব ও খাদ্য বিভাগ অংশ নেয়। সকাল ১০টা- সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযানের পর এক হাজার পাঁচশত ষোল মেট্রিক টন চালসহ মিল সিলগালা করে।
খাদ্য অধিদপ্তর আগেই উল্লিখিত পরিমাণ চাল খাবার অনুপোযোগী বলে ঘোষণা করেছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ বাবুল হোসেন বলেছেন, চাল পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পর্যালোচনা প্রতিবেদন তদন্ত কমিটি ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেবে। নিম্নমানের চাল এ সময় লবণচরা এলাকার আলোচ্য বিষয়।
খুলনা গেজেট/এনএম