খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে ফার্মগেটে বণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করছে
  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু

মেহেরপুরে রেজাউল হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

গেজেট ডেস্ক

মেহেরপুরের গাংনীতে ব্যবসায়ী রেজাউল হক খোকন হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপুতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী থানাপাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাস (৪০), কুষ্টিয়ার দৌলাতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান রিপন (৩৭), হিজলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৫), গাংনীর পল্লী বিদ্যুৎপাড়ার আজগর আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৪০), বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফইমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল জাব্বার (৪২) ও হোসেন আলী। হোসেন আলী পলাতক রয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আড়পাড়া গ্রামের আব্দুর মান্নানের ছেলে আক্তারুজ্জামান ওরফে বাবু, জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দীনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, আড়পাড়ার গ্রামের লালচাঁদের ছেলে মজনু মিয়া, মালশাদাহ গ্রামের ইউসুব আলীর ছেলে আবুল কালাম, হাড়িয়াদাহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা মিয়া ও শানঘাট গ্রামের ওয়াদুদের ছেলে শান্ত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাংনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভিটাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইটভাটা মালিক রেজাউল হক খোকনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে একটি মেহুগনি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব-৬ এর গাংনী ক্যাম্পের একটি দল।

এ ঘটনায় নিহত রেজাউল হকের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ২০ নভেম্বর ১২ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ এর এসআই বকুল হোসেন তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত আজ রায় দেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর রেজাউল হত্যা মামলায় রায় পেল স্বজনরা।

আসামিপক্ষে কামরুল ইসলাম ও মিয়াজান আলী এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজি শহিদুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!