কেশবপুরে অর্থের অভাবে মেধাবী ছাত্রী আমেনা খাতুনের (১১) চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। সে উপজেলার কন্দর্পপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার রোল নম্বর এক। আট বছর বয়স পর্যন্ত আমেনা সমানতালে খেলাধুলাসহ ছুটে বেড়িয়েছে সহপাঠীদের সঙ্গে। সম্প্রতি মেরুদন্ড বাকা হয়ে যাওয়া বিরল রোগ আক্রান্ত হয়েছে সে। যে কারণে শরীরও সামনে দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামের দিনমজুর ফারুক হোসেন ও শেফালী খাতুন দম্পত্তির একমাত্র সন্তান আমেনা।
কন্দর্পপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আমেনা খাতুন জানায়, গত ৩ বছর যাবত সে শরীরের মেরুদন্ডের পরিবর্তন অনুভব করে। বর্তমান সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ার পাশাপাশি লেখার সময় হাতের আঙ্গুলে টান পড়ছে। লেখাপড়া শেষ করে তার ইচ্ছু ছিলো গরীবের ডাক্তার হওয়া। কিন্তু শারিরীক সমস্যা সৃষ্টি হওয়াতে কথা বলা ও চলা ফেরাতেও বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। তাতেও তার মনোবল হারায়নি। ভালো হয়ে তার ইচ্ছা পুরণ করতে চাই। ধীরে ধীরে খাওয়াও কমে যাচ্ছে।
দিনমজুর বাবা ফারুক হোসেন মেধাবী একমাত্র সন্তানকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতিমধ্যে সহায়সম্বল শেষ করে ফেলেছেন। যশোর-খুলনাতে বিভিন্ন চিকিৎসা দিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ্ আলমের নিকট নিয়ে যান। তিনি আমেনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন দ্রুত অপারেশন করাতে হবে।
দিনমজুর ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, অপারেশন করাতে প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ওই দম্পত্তির পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কোন ভাবেই সম্ভব না। যে কারণে তাঁরা মেধাবী একমাত্র সন্তানের জীবন বাঁচাতে দেশের দানশীলসহ বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মেধাবী এ সন্তানের জীবন বাঁচাতে তার মা শেফালী খাতুনের ০১৩২১৬২০২১৭ (বিকাশ) ও সোনালী ব্যাংক লিঃ, কেশবপুর শাখা সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২৩২০০০২১৫৪৬৩৭ এ সহয়াতা পাঠানো যাবে।