ক্লিনিকের লাইসেন্স, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় যশোরের মেডিল্যাব হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগ সিলড করেছে যশোর স্বাস্থ্যবিভাগ। এর আগে চৌগাছা উপজেলা শহরের দুটি ক্লিনিক সিলড করা হয়। মেডিল্যাব প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পরিচালিত হচ্ছিল। শনিবার (১৮ আগস্ট) যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে ক্লিনিকে অভিযানে পরিচালিত হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র যশোর শহরসহ উপজেলা ও পল্লী অঞ্চলের বাজারে অবৈধভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য বিভাগ দফায় দফায় সতর্ক করলেও তারা উল্টো রোগী সেবার নামে প্রতারণা অব্যাহত রেখেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো অনুমোদন ছাড়াই শয্যাও খুলে তারা রীতিমত অপারেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের নেই কোন অনুমতি, নেই ডাক্তার-নার্স, এরপরও প্রতিদিন রোগী দেখা হচ্ছে, রোগী ভর্তি করা হচ্ছে, প্যাথলজিক্যাল নানা পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হচ্ছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে অভিযান পরিচালনা করে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় স্বাস্থ্যবিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলা মেডিল্যাব হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাওয়া যায় নানা অসঙ্গতি। এরই প্রেক্ষিতে কর্মকর্তারা প্রষ্ঠিানটির বিরুদ্ধে ওই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, মেডিকেল অফিসার রেহেনেওেয়াজ রনি প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, জেলায় অনুমোদনহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ কাজে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে, একই অভিযোগে শুক্রবার যশোরের চৌগাছার মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতাল ও মায়ের দোয়া প্রাইভেট ক্লিনিক নামে দুটি বেসরকারি ক্লিনিক সিলড করে স্বাস্থ্য বিভাগ।