খুলনা জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মিসেস মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে অর্থ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার লাশ মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার গোয়াতলা গ্রামে দাফন হয়।
দুদক, খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি দিয়ে মালেকা বেগমের নামে একাউন্টের হিসেব তলব করেছে। পত্রে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য রেকর্ড পত্রের ফটোকপি দুদক কার্যালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, জিলা স্কুলে চাকরি করাকালীন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ও অবৈধ ভাবে ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে অর্থ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের জন্য দুদকের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তার কাছে খুলনা গেজেটের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। মালেকা বেগমের মৃত্যু তারিখ সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সাধারণত তার তদন্ত হয় না।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, মিসেস মালেকা বেগম চার বছর আগে জেলা স্কুল থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছেন। এর আগে তিনি সরকারি করনেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও খুলনা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর কেসিসি ৩০ নং ওয়ার্ডের দারোগা পাড়ার আজিজুর রহমান রোডের মোহাম্মদ বিল্লা ভবনে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তার ৬৭ বছর জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে খুলনা নগরীতে।
খুলনা গেজেট/ এস আই