সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত ঘোষণার পর হাসপাতালের মর্গের হিমঘরে এক রাত রাখা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। কিন্তু পরদিন ওই মর্গেই ‘মৃত’ ব্যক্তিকে শ্বাস নিতে দেখেন স্বজনরা! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পূর্বে উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদ এলাকার একটি হাসপাতালে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুরাদাবাদে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন শ্রীকেশ কুমার নামে এক ব্যক্তি। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ময়নাতদন্তের জন্য একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীকেশ কুমারের মরদেহ।
সেই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রাজেন্দ্র কুমার রোববার এএফপিকে বলেন, ‘মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। বেঁচে থাকার কোনো আলামত না পেয়ে ওই চিকিৎসকও শ্রীকেশকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওই চিকিৎসক বলেন, পুলিশকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয় এবং শ্রীকেশের পরিবারের সদস্যরা না আসা পর্যন্ত মরদেহটি ওইদিন রাতে মর্গের হিমঘরে রাখা হয়।
তিনি বলেন, পরে পুলিশের একটি দল এবং তার পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্তের কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হাসপাতালে আসেন। এ সময় তারা শ্রীকেশকে জীবিত দেখতে পান!
রাজেন্দ্র কুমার বলেন, ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পরবর্তীতে আবার চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে তিনি কোমায় আছেন।
হাসপাতালের এই তত্ত্বাবধায়ক বলেন, এটি অলৌকিক ঘটনা ছাড়া কিছু নয়।