নগরীর মুজগুন্নী এলাকায় সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত মোল্লা জুলকার নাইম ওরফে মুন্না হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখনও কোন ক্লু খুঁজে পায়নি পুলিশ । কাউকে আটকও করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (৩০) জুন নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আছরের নামাজ শেষে গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।
নিহত মুন্না দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধী গ্রামের সোহরাব মোল্লার ছেলে। সে বিভিন্ন মামলায় ফেরার থেকে সব সময় নিজেকে আত্মগোপনে থাকত। বেশিরভাগ সময়ই সে খুলনায় অবস্থান করত। গত দেড় বছর যাবত মুজগুন্নী কাজী বাড়ি এলাকায় নানা বাড়িতে থাকত। বুধবার রাতে রাস্তা ক্রস করার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় সে।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাহাঙ্গীর আলম খুলনা গেজেটকে বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মুন্না মুজগুন্নী বাসস্ট্যান্ডের পাশের রাস্তা দিয়ে বের হয়। এর আগে থেকে সেখানে ওঁৎ পেতে ছিল সন্ত্রাসীরা। গুলির ঘটনার আগে একজন ভিক্ষা চায় মুন্নার কাছে। কিন্তু প্রথমে তাকে ভিক্ষা দিতে চায়নি সে। পরে পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে ওই ভিক্ষুককে দেয় । তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগে জামা কাপড় ছিল। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি মোটরসাইকেল এসে তার গতি রোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুব কাছ থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুন্নাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলযোগে দৌলতপুরের দিকে চলে যায়। রাস্তায় ব্যক্তি মালিকানায় যে সকল ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল তার অধিকাংশ নষ্ট। যে কারণে ফুটেজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত মুন্নার নামে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম গাজী ও অন্য একটি হত্যা মামলা রয়েছে। তাছাড়া খুলনার দৌলতপুর থানায় নিউ বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পাটি নেতা হুজি শহীদ হত্যা মামলা রয়েছে।
এদিকে নিহতের বড় বোন হুরাইরা বৃহস্পতিবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং ২৫।
দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। আছরের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ