খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা
  হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে বাধা নেই, হাইকোর্টে রিট খারিজ

মিস্ত্রিপাড়ায় অর্ধসমাপ্ত ড্রেন ও সড়ক নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড্রেনের ময়লা পানিতে সয়লাব সড়ক। পানি ঢুকে পড়েছে আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। গত ৬ মাস ধরে পানিতে ডুবেই দিন কাটছে খুলনা নগরীর মিস্ত্রিপাড়া খালপাড় সড়কের বাসিন্দাদের।

কেসিসি থেকে জানা গেছে, দুইটি প্যাকেজে নগরীর মিস্ত্রিপাড়া খালপাড় ড্রেন ও সড়ক উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এই কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিলো। কিন্তু ৩০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত ৬ মাস আগে মিস্ত্রিপাড়া খাল সংলগ্ন ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজে গতি নেই। নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার পানি ওই ড্রেন দিয়ে মিস্ত্রিপাড়া খালে যায়। বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দেওয়ায় বৃষ্টিতে পানি সড়ক ও এলাকাবাসীর বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে।

সরেজমিন খালপাড় সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ড্রেনের কালো পানিতে পুরো রাস্তা ডুবে আছে। আশপাশের নিচু বাড়ির ভেতরেও ড্রেনের পানি প্রবেশ করেছে। সড়কের পাশেই কয়েকটি চায়ের দোকান। পানি প্রবেশ করায় ইট দিয়ে টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব উচু করা হয়েছে। কিন্তু নিচে কালো পানি থাকায় দোকানে কেউ প্রবেশ করছে না।

বিক্রেতা সেলিম জানান, এই পরিবেশে কেউ চা খেতে আসে না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকেই এখন বের হয় না। আর একবার বের হলে সবাই সড়কে পানি নামার অপেক্ষা করে। এরপর বাড়ি ফেরে। এতে বেচাকেনা প্রায় বন্ধ।

পাশের আরেকটি সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেনের পানি যেন সড়কে না আসে এজন্য বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। পানি নেমে গেলেও ড্রেনের ময়লা-কাদা সড়কে রয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে এর মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন জানান, নোংরা কাঁদাপানিতে রিকসা ইজিবাইক কিছু আসতে চায় না। তিন-চার গুন বেশি ভাড়া দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এই কষ্ট কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।

কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, ড্রেনের কাজে ধীরগতির জন্য ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এরপরও কাজে গতি না আসলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!