লাভজনক হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন খুলনার রূপসা উপজেলার কৃষকরা। এদেরই একজন নৈহাটি ইউনিয়নের আব্দুস সালাম শেখ (৫৫)। গতবছর ভাল লাভ পাওয়ায় এবার তিনি অধিক জমিতে চাষ করেছেন মিষ্টি আলু।
সরেজমিনে শ্রীরামপুর বিলে কৃষক আব্দুস সালাম শেখের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি নিজের ও লিজ নেওয়া জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে থাকেন। অন্যান্য বছরগুলোর মতো তিনি এ বছরও মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন।
তিনি বলেন, “প্রথমে মাত্র ১০ শতক জমিতে আলু চাষ শুরু করি। এবছর চাষ করেছি ২ একরে। আলুর ফলনও হয়েছে ভাল। আমি নিজ উদ্যোগে এই আলু চাষ করে থাকি। গতবছর প্রায় ৩ লক্ষ টাকার আলু বিক্রি হয়েছে। তাই এবার অধিক জমিতে চাষ করেছি। এ বছর আমার ২ একর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আশা করছি এবার আরো বেশি টাকার আলু বিক্রি করতে পারবো।”
তিনি আরও বলেন, “একটি আলুর ওজন দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। মিষ্টি আলু চাষে খরচ কম, লাভ অনেক বেশি। এই ফসল চাষে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। চারা রোপণের এক মাস পরেই গাছে আলু চলে আসে। তিন থেকে চার মাস পরে মাটির নিচ থেকে আলু উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করা হয়। আমার মিষ্টি আলুর চারা কেনার প্রয়োজন হয় না। নিজেই গাছের পট থেকে চারা তৈরি করে থাকি।”
রূপসার নিকলাপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্লা খুলনা গেজেটকে বলেন, মিষ্টি আলু চাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। পতিত জমিতে এই আলু চাষ করা যায়। আমার ব্লকে উন্নত জাতের আলু চাষ হয়। এই ফসলে পোঁকার আক্রমণ অনেক কম। কৃষক আব্দুস সালাম শেখের মতো ওই এলাকার অনেক কৃষক মিষ্টি আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুজ্জামান বলেন, এবছর রূপসা উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। আলু চাষে খরচ অনেক কম। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম