খুলনার সেই সাইকেলে ফেরিওয়ালা তসলিমা বেগম মুসলিমার মেঝো মেয়ে তানজিলা রহমান নওরিন (১০) মৃত্যুবরণ করেছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তসলিমা বেগম মুসলিমা জানান, রোববার রাত থেকে নওরিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মেয়েটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। প্রথমে তার লিভারের সমস্যা ধরা পড়েছিল। নিজের সর্বোচ্চ এবং মানুষের সহায়তায় তার চিকিৎসা করা হয়। তবুও নওরিনকে বাঁচানো গেল না।
এর আগে মুসলিমা জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন আগে নওরিনের চোখ-মুখ হলুদ হয়ে যায়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও পেটে ব্যাথা শুরু হয়। কিছু খেতে পারছিল না। তাকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেয়ের লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে। শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে চিকিৎসকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, টাকার অভাবে ঢাকা যেতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয় এক দোকান মালিকের কাছ থেকে ধার করে কিছু টাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি ১৬ ফেব্রুয়ারি। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল নওরিন।
চঞ্চল প্রকৃতির মেয়েকে হারিয়ে মুসলিমার পরিবার ও এলাকায় শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
মুসলিমা বলেছিলেন, কয়েকমাস আগে তার ছোট ভাই মারা গেছে। তার কিছুদিন পর মা মারা যায়। স্বামীর হার্টের সমস্যা। সর্বশেষ আজ মেয়েকে হারালেন এই সংগ্রামী নারী।
খুলনা গেজেট/এনএম