খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮
রূপসায় ১০ জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ শূন্য

মানসম্মত অপারেশন থিয়েটর থাকতেও হচ্ছে না অস্ত্রোপচার

তরিকুল ইসলাম

খুলনার রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসম্মত অপারেশন থিয়েটর থাকতেও চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অস্ত্রোপচার। এছাড়া জুনিয়র কনসালটেন্ট পদমর্যাদার ১০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সবগুলো পদ রয়েছে শূন্য। ১৩ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ থাকলেও ৪ জনকে পাঠানো হয়েছে জেলা শহরে। ফলে এ উপজেলার ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষের মানসম্মত সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে শিশু ও গাইনী বিশেষজ্ঞ কেউ না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার গর্ভবতী নারী ও শিশুরা। এনেসথেটিস্ট পেলেই সিজারিয়ান সেকশনসহ মাইনর অপারেশন চালু করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের মার্চে ৩১ বেড নিয়ে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আরও একটি নতুন ভবন স্থাপিত হয়ে ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়। তবে নতুন ভবন, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ, পর্যাপ্ত নার্স ও কর্মচারী থাকতেও চিকিৎসকের রয়েছে চরম সংকট।

জুনিয়র কনসালটেন্ট পদমর্যাদার সার্জরী, গাইনী, মেডিসিন, এনেসথেশিয়া, শিশু, ইএনটি, অর্থোপেডিক্স, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি ও চক্ষু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও রয়েছে সবগুলো পদ ফাঁকা।

ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরাদ্দকৃত সহকারী সার্জন পদের বিপরীতে ৫ জন সহ মোট ১৩ জন মেডিকেল অফিসার পদায়ন রয়েছে। তবে জেলা শহরের সদর হাসপাতালে ১ জন, কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২ জন ও বক্ষব্যাধীতে ১ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে তারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন জেলা শহর খুলনাতে। ফলে এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে চিকিৎসকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয়রা জানান, অপারেশনের ব্যবস্থা না থাকায় গর্ভবতীদের সিজারের জন্য আসতে হয় জেলা শহরে অথবা কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে। ফলে এলাকার অসহায় ও স্বল্প আয়ের রোগীদের সিজার ও সিজার পরবর্তী খরচ জোগাড় করে অন্যত্র সেবা নেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া দূরে নেওয়ার পথে অনেক প্রসূতির মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে। তাই নূন্যতম সিজার অপরেশন চালুসহ শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান নিজে সার্জারীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ায় এনেসথেটিস্ট এর ব্যবস্থা হলে সিজারিয়ানসহ মাইনর অপারেশনের ব্যবস্থা করা যাবে বলে খুলনা গেজেটকে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, চিকিৎসক সংকট সমাধানে উর্ধ্বতনদের অবহিত করা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট / এআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!