খুলনার দু’টি আদালতে মাদক মামলায় দু’জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। এদের একজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অপর আসামিকে আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে একজন উপস্থিত থাকলেও, অন্য আসামি পলাতক ছিলো।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রূপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের বিমল শিকদারের ছেলে মিহির শিকদার (৩৩ )। অপরজন একই উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের মৃত টুলু রায়ের ছেলে পার্থ প্রতীম রায়।
খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৯ টায় জাবুসা গ্রামের বিমল বিশ্বাসের বাড়িতে খুলনা জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালান। এ সময় তার ছেলে মিহির বিশ্বাসের ঘরের খাটের নীচ থেকে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ খুলনা জেলা পরিদর্শক মোঃ আহসান হাবীব বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৬। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের ৯ এপ্রিল মিহির শিকদারকে আসামি করে আদালতে একটি চার্জশীট দাখিল করেন।
আসামির বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর রাত ১০ টায় নগরীর বাইতিপাড়া এলাকায় অভিযান চলাকালে পুলিশ ৮৫ পিছ ইয়াবাসহ রূপসা উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের টুলু রায়ের ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে খুলনা থানার এসআই সুব্রত কুমার বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৮। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোল্লা জুয়েল রানা তাকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ আরো ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। এ রায় ঘোষণা করেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহীদুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম