মাদক বিক্রিতে নিষেধ করায় খুন করা হয় খালিশপুর এলাকার চায়ের দোকানী লিটনকে। এমনি বিবরণ দিলেন এ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রিয়াজ মুন্সী। আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় বিচারিক জবানবন্দী প্রদান করেন রিয়াজ মুন্সী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত লিটনের চায়ের দোকানের পাশে আসামিরা মাদক দ্রব্য বিক্রি করতো। প্রায়ই লিটন তাদের এখানে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করতো। আর এ নিষেধ তার জীবনে কাল হয়ে দাড়ায় ১৮ এপ্রিল রাতে। রাত ১ টায় দোকান বন্ধ করে লিটন তার সহযোগী রিয়াজ ও মিজানকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। উত্তর কাশিপুর বাইতিপাড়া কবরখানা রোড লাবু শরীফের বাড়ির সামনে পৌছানো মাত্র সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের ওপর চাইনিজ কুড়াল, সেভেন গিয়ার ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা লিটনকে খুন করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। সন্ত্রাসীরা তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রিয়াজ ও মিজান ভয় পেয়ে পাশের বাড়ি আশ্রয় নিয়ে আলামিন ও হৃদয়কে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করে। তারা উভয় ঘটনাস্থলে আসলে আসামিরা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনার পর এলাকাবাসী লিটনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চায়ের দোকানী লিটন রাত ২ টায় মৃত্যুবরণ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এটা একটা নির্মম হত্যাকান্ড। রিয়াজ মুন্সি এ হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী। আসামিদের ভয়ে মামলার ঘটনা জানা সত্ত্বেও তা পরিবর্তন করতে পারে। তাই মামলার প্রয়োজনে তার জবানবন্দি ১৬৪ ধারা মতে আজ মঙ্গরবার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এ হত্যা মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এরমধ্যে দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অপর পাঁচ আসামি পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই