খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপিত হয়েছে। প্রত্যুষে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক-এর নেতৃত্বে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়।
সূর্য্যােদয়ের সাথে সাথে নগর ভবন, মেয়র ভবন, ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার, খালিশপুর শাখা অফিস, স্বাস্থ্য ভবন, কেসিসি পরিচালিত স্কুল ও কলেজ, ম্যাটারনিটি হাসপাতালসমূহ এবং শহীদ হাদিস পার্কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন; নগরীর প্রবেশদ্বার, গুরুত্বপূর্ণ আইল্যান্ড ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত এবং বীর বাঙালী ভাস্কর্য, নগর ভবন, খালিশপুর শাখা অফিস ও শহীদ হাদিস পার্কহর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহ আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়া শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য খালিশপুরস্থ ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক ও গল্লামারীস্থ লিনিয়র পার্কে শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।
সকাল ৯টয় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, মেয়র প্যানেলের সদস্য, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে নগর ভবনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও কিশোর-কিশোরীদের রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎস্বর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য তিনি স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তারই সাথে সঙ্গতি রেখে খুলনা মহানগরীতেও ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। চলমান কাজ আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিটি মেয়র নতুন প্রজন্মকে বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত করে দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কেসিসি’র ক্রীড়া ও সংস্কৃতি স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মোহাম্মদ আলী, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, মো: ডালিম হাওলাদার, মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদ, মো: মনিরুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর কনিকা সাহা, মাজেদা খাতুন ও রেকসনা কালাম লিলি।
স্বাগত বক্তৃতা করেন সচিব মোঃ আজমুল হক। অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, এস্টেট অফিসার নূরুজ্জামান তালুকদার, বাজার সুপার এম এ মাজেদ, খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ মো: মেজবাউল হকসহ কেসিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।