বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শনিবার (২৫ জানুয়রি) ২০১তম জন্মবার্ষিকী। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের জমিদার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মহাকবি মাইকেল। তাঁর বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবী।
১৮৫৩ সালে মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন থেকে তার নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক পদ্মাবতী ও কৃষ্ণকুমারী, প্রহসন একেই বলে সভ্যতা ও বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ,
কাব্য ব্রজাঙ্গনা ও বীরাঙ্গনা, এবং চতুর্দশপদী কবিতাবলী রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি।
১৮৭৩ সালের ২৯ জুন ভারতের আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখ্য, মহাকবির ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ জানুয়ারি থেকে সাগরদাঁড়িতে বসেছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। এবারের মধুমেলায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য মধুমঞ্চে দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি প্যান্ডেলে সার্কাস, যাদু প্রদর্শনী ও মৃত্যুকূপ বসানো হয়েছে। রয়েছে শিশুদের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন আয়োজন। এছাড়া, কুটির শিল্পসহ গ্রামীণ পসরা ও কৃষি মেলা রয়েছে। মধুমেলা ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী এ মধুমেলা আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে