ক্রমবর্ধমান মশার উপদ্রব থেকে খুলনা নগরবাসীকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন খুলনা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের পক্ষে সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ অ্যাড. আ ফ ম মহসীন এবং সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, খুলনা মহানগরীতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে আশংকাজনকভাবে। খুলনায় সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীও শনাক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা খুলনাকে ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ন এলাকা হিসাবে মন্তব্য করেছেন। মশা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে মশাবাহিত অন্যান্য রোগব্যাধির ঝুঁকি। সকল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনায়ও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মকভাবে।
এমনকি অনেক পরীক্ষা কেন্দ্রও দিনের বেলায়ও মশার উপদ্রবের কথা শোনা যাচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এমতাবস্থায় সম্প্রতি কেসিসি মেয়র মশা নিধনের ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান এবং খুলনার প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনের বিষয়ে জোর সুপারিশ করলেও তার কোন বাস্তবায়ন নেই। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা বিভাগের এ সংক্রান্তে মাঠ পর্যায়ে কোন পদক্ষেপ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি বলেও নেতৃদ্বয় মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রথমত মশানাশক ঔষধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে, সংশ্লিষ্টদের কাজে থাকতে হবে স্বচ্ছতা-জবাবদিহীতা, বর্জ ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি গতি বাড়াতে হবে, মশার প্রজনন স্থানগুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত ঔষধ ছেঁটাতে হবে, ড্রেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, পলিথিন মুক্ত করা মশা নিধনের ক্ষেত্রে একটি জরুরী বিষয় বলেও বিবৃতিদাতারা মনে করেন। সর্বোপরী নিয়মিত ঔষধ ছেঁটানো এবং নগরবাসীকেও এ ব্যপারে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা নগরবাসীর প্রতি নিজ নিজ দায়িত্বে যার যার ঝোপ-জঙ্গল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিও বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন।