খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

মরিচের ঝাঁঝে নাকাল সাধারণ ক্রেতা, সবজিও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

শাহ জালাল সম্রাট, শার্শা

বর্তমানে মহামারি করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন সাধারণ মানুষ। অসহায় অবস্থায় যাচ্ছে মানুষের জীবন। সব ধরনের সবজির দামের পাশাপাশি বেড়েছে কাচা মরিচের। তিন থেকে ৭ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ শত টাকায় পৌঁছেছে। কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকা এবং সব ধরনের সবজির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব সবজির দাম। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ইচ্ছা মাফিক দাম বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের পকেট কাটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

শনিবার সকালে সরেজমিনে বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, খিরই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করোল্লা ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিন থেকে চার দিন আগে কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, খিরই ৩০ থেকে ৩২ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩২ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২২ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাকরল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।

শনিবার সকালে বেনাপোল বাজারে আসা ক্রেতা জিয়া বলেন, ‘করেনাকালীন সময়ে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের সবজির দাম কেজি প্রতি অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং কাঁচা মরিচের দাম ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। দাম যাতে শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসে এজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।’

শার্শার নাভারন বাজারে আসা ক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সবজির বাজার বেসামাল অবস্থা।’ তিনি বলেন, তিন-চার দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের সবজির দামও। করোনার মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় তরিতরকারির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।’ তিনি বলেন, ‘বাজার দর মনিটরিং যদি আরো জোরদার করা হয় তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

বেনাপোল চেকপোস্টের শাপলা হোটেলের মালিক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবধরণের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’

একইভাবে পলাশ হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, দেশে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। এতে সবজিসহ তরিতরকারির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য ব্যবসায়িরা বাইরের জেলা থেকে এসব সবজি ও ঝাল ক্রয় করে আনছে। পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে সবজি ও ঝালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!