যশোরের মনিরামপুরে পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ও বিকেলে উপজেলার শ্যামকুড় ফকির রাস্তামোড়ে এবং জামতলায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, মাইক্রোবাসের যাত্রী বিধান রায় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনোরঞ্জনের ছেলে ও কলেজছাত্র রাকিবুল হাসান রনি বাগডোব গ্রামের নূরুন্নবীর ছেলে।
আহতরা হলেন, মাইক্রোবাস চালক মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে লিটন হোসেন (৪৮), খুলনা মহানগরের শেখপাড়া বানিয়াখামার এলাকার গোলাম নবীর ছেলে এমএম জোয়ার্দ্দার ও তার তিন বোন একই এলাকার হোসনে আরা বেগম (৫৪), শওকত আরা জোয়ার্দ্দার (৫০) ও জেলি জোয়ার্দ্দার (৫৭)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, এদিন সকাল ৯টার দিকে মাইক্রোবাসযোগে তারা যশোরের দিকে যাচ্ছিল। পথে ফকির রাস্তামোড়ে বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী বিধান চন্দ্র রায় নিহত ও পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস ও ট্রাক পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, মণিরামপুরে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক সংঘর্ষে কলেজছাত্র রাকিবুল হাসান রনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ইজিবাইকের তিনজন যাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে যশোর-রাজগঞ্জ সড়কের জামতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মণিরামপুর উপজেলার বাগডোব গ্রামের নিহত রনির পিতা নুরুন্নবী জানান, এদিন বেলা তিনটার দিকে তার ছেলে রনি প্রাইভেট পড়ার জন্য খেদাপাড়ায় যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে জামতলায় ইজিবাইকের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় রনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহতরা হলেন, ইজিবাইক চালক গোয়ালদাহ গ্রামের মাখন মন্ডল (২৮), ইজিবাইকে থাকা শিশু ও তার মা। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড