উপরে হলুদ আর ভেতরে টকটকে লাল সুস্বাদু তরমুজ ঝুলছে মাচায়। অসময়ের তরমুজ বলে চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি দামও ভাল পাচ্ছেন চাষীরা।
প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সেনেরগাতী ফুল বাড়ি গ্রামের কৃষক কালাম শেখ, নগরঘাটার কৃষক আসাদুর রহমান, মাসুদ হোসেন, আব্দুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম, মিঠাবাড়ির মুকুল হোসেন ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুরের রেজাউল মোল্লা ভিয়েতনামের মধু মালা ও ইয়োলো বার্ড এবং ইন্ডিয়ান ব্লাক বেবি জাতের এই তরমুজ চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন।
তালা উপজেলার সেনেরগাতী ফুল বাড়ি গ্রামের গ্রামের কৃষক কালাম শেখের তরমুজের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে সারি সারি হলুদ রঙের তরমুজ। কালাম শেখ তার আট কাঠা জমিতে এবছরই প্রথম এই তরমুজের চাষ করেছেন। এজন্য তিনি ৫০ দিন আগে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেনের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে ও পরামর্শ নিয়ে মালচিং পেপার ব্যবহারের মাধ্যমে জমিতে বীজ রোপণ করেন। কিন্ত অল্প সময়েই যে সাফল্য পাবেন কালাম শেখ তা চিন্তাও করেননি ।
কালাম শেখ জানান, বেড তৈরি করে মালচিং পেপারের ভেতর কেটে চারা বসিয়েছি। অল্পদিনেই গাছে তরমুজ ধরেছে। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগ, মাচা তৈরি, সুতা ও জাল বাবদ খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। খরচ বাদেও ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, অল্পদিনে ফলন পাওয়ায় একই জমিতে বছরে চার বার ফসল ফলানো যায়। এখন ফুলবাড়ি গ্রামের অন্য কৃষকরাও তার তরমুজ ক্ষেত দেখতে আসছেন।
কালাম শেখ জানান, বাজারে বর্তমানে ব্লাক বেবি ৮০ টাকা কেজি এবং মধু মালা ও ইয়োলো বার্ডও প্রায় কাছাকাছি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, লকডাউনের কারণে দাম একটু কম।
এ বিষয়ে উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেন জানান, হলুদ তরমুজ চাষে কৃষক আগ্রহী হওয়ার প্রধান কারণ মাত্র দুই মাসে তরমুজ বিক্রি উপযোগী হয়ে যায়। সাতক্ষীরার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
তিনি আরো জানান, দেশের উর্বর মাটি ব্যবহার করে কালাম শেখের মত কৃষকরা সোনার ফসল ফলাচ্ছেন। সচল রেখেছেন দেশের অর্থনীতি। ফলে চাকরির পেছনে না দৌড়ে কৃষিকাজে শিক্ষিত তরুণেরা এগিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হয়েও পুষ্টির চাহিদা মিটাতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি