লাঠি ও ককটেল নিয়ে মিছিল বের করার সময় যশোরের মণিরামপুরে বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।
এ সময় উভয়পক্ষের ধস্তাধস্তিতে থানার ৪ পুলিশ আহত হয়েছেন। এরা হলেন, থানার উপপরিদর্শক মলয় বসু, এসআই ইব্রাহিম হোসেন, এএসআই কাজল চ্যাটার্জী ও কনস্টেবল এমএ রশিদ। আহতরা বুধবার সন্ধ্যায় মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আটককৃত ৬ জন হলেন, উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনসার আলী, ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুস্তম আলী, চালুয়াহাটির ইউপি সদস্য বিলাল হোসেন, বিজয়রামপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান, যশোর সদরের সিদ্দিকুর রহমান ও চালুয়াহাটি গ্রামের মাহবুবুর রহমান।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, বুধবার বিকেলে থানার পাশে বিএনপি নামধারী কর্মীরা লাঠিসোটা ও ককটেল নিয়ে জড়ো হয়ে মিছিল বের করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের বাধা দেয় ও অভিযুক্তদের কেড়ে নেবার চেষ্টা চালায়। এতে ধস্তাধস্তিতে থানার ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে তারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আটককৃতদের কাছ থেকে লাঠি ও ককটেল উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মণিরামপুর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল বলেন, ওসির অনুমতি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যার আগে আমার বাড়ির আঙ্গিনায় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা করি। সভা চলা অবস্থায় বাইরে অনেক পুলিশের উপস্থিতি টের পাই। সভা শেষে নেতাকর্মীরা বের হওয়ার সময় পুলিশ ৯/১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। বাকি ৬ নেতাকর্মী আটক আছে। এ ঘটনায় নাশকতা মামলা দিয়ে তাদেরকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যায় ৪ পুলিশ আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তাদের শরীরে ছোটখাটো জখম ছিল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস