যশোরের মণিরামপুরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে চুই-ঝালের চাষ। উপজেলার হয়াতপুর গ্রামে প্রায় ৩ বিঘা জমিতে চুই-ঝালের চাষ করেছেন দুই ভাই রেজাউল করিম ও তার ছোট ভাই নিজাম উদ্দীন। ওই জমিতে বছর দু’য়েক আগে লাগানো আমড়া গাছের গোড়ায় রোপন করা হয়েছে চুই গাছের চারা। চার মাস আগে রোপনকৃত চুই গাছের চারা আমড়া গাছের গোড়া বেয়ে লতিয়ে উঠেছে। বছর পার হলেই চুই গাছের ডাল কাটা শুরু হবে। এতে খরচ বাদে ব্যাপক লাভের আশা করছেন চুই চাষী দুই ভাই। এদিকে, উক্ত চুই-ঝালের চাষে অপার সম্ভবনাময় হিসেবে দেখছে কৃষি অফিস।
জানা যায়, প্রতিটি আমড়া গাছের গোড়ায় লতিয়ে উঠেছে চুই-ঝালের চারা। জমির কিছু জায়গায় জিয়লি কচা গাছ লাগিয়ে গোড়ায় উঠিয়ে দেয়া হয়েছে চুই গাছের চারা। চুই চাষী রেজাউল করিমের সাথে কথা হলে জানান, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন উদ্যোগ হিসেবে লাভজনক ব্যবসার আশায় চুই চাষ করেছি। এতে একদিকে যেমন অন্য ফসলের ন্যায় অধিকহারে সার-কীটনাশকের ব্যবহারসহ পরিচর্যার দরকার হয়না, পাশাপাশি বাজার দরও অনেক। দূরদূরান্ত থেকে চারা কিনে এনে জমিতে লাগানো আমড়া গাছের গোড়ায় রোপন করেন চুই গাছের চারা। আশ্বিন মাসে ৮ ফুট দূরত্বে রোপন করেন চুই-ঝালের চারা। এতে তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচের তুলনায় কয়েকগুন লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, দুই ভাইয়ের চুই চাষের জন্য সব ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এটিকে অর্থনৈতিভাবে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে দেখছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন