যশোরের মণিরামপুরে চেতনানাশক খাইয়ে বিধবা দরিদ্র নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বুধবার (২২ জুন) রাত ৮টার দিকে এক স্কুল ছাত্রসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) মণিরামপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন ওই বিধবা নারীর ভাই লিটন হোসেন। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলো উপজেলার চাকলা গ্রামের রিজাউল দফাদারের পুত্র মুকুল দফাদার, মৃত জমির হোসেনের পুত্র সুজন হোসেন এবং একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির হাসান রাহুল। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইব্রাহিম হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জনু রাত ১১টার দিকে চাকলা গ্রামের বিধবা ওই নারীর বাড়ির পাশে এলাকার কয়েকজন যুবক পিকনিকের আয়োজন করে। পিকনিক শেষে অন্যান্যরা বাড়িতে চলে গেলেও আটক আসামীরা পিকনিক উপলক্ষে আরসির বোতলের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে ওই বিধবা নারীসহ তার কন্যাকে খাইয়ে অচেতন করে। এসময় আটক স্কুল ছাত্র রাহুল ও সুজনকে ঘরের বাইরে পাহারার জন্য দাঁড় করিয়ে মুকুল দফাদার ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় অনেকটা অচেতন অবস্থায় ওই বিধবা নারী মুকুলকে ধরার চেষ্টা করলে সে এবং বাইরে থাকা দুই জন পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ভিকটিম ওই বিধবা নারীর প্রাথমিক জবানবন্দি গ্রহণ করে থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দীকি জানান, বিধবা নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।