যশোরের মণিরামপুরে মাদরাসাছাত্র মামুন হাসান (২২) খুনের অন্যতম আসামি সিরাজ, আনিছুর মেম্বর ও ফারুকের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন গ্রামবাসীসহ হতভাগ্য মা ও স্বজনরা। শুক্রবার সকাল দশটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ ও শিশু সোহবারমোড়-চাঁচড়া সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। নিহত মামুনের মা ছকিনা বেগম, বাবা মশিয়ার রহমান ও বোন লিমা খাতুন মানববন্ধনে অংশ নেন। ছেলে খুনের বিচারের দাবি সম্বলিত ফেস্টুন হাতে ধরে রাস্তায় দাড়ান হতভাগ্য মা ছকিনা বেগম।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ওরা ডেকে নিয়ে খুন করেছে। খুনিদের বিচার চাই। কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।
মামুনের বাবা মশিয়ার গাজী বলেন, ওইরাতে আনিছুর মেম্বর উপস্থিত থেকে আমার ছেলেকে মারাইছে। মেম্বর বলেছে, সকাল হলি মামুনরে ইটভাটায় জ্বালিয়ে দেবে।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত মণিরামপুর উপজেলার খোজালিপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ায় মামুনকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন ওই এলাকার সিরাজ, আনিছুর মেম্বর, ফারুক, লাভলু, সোহাগ, আলতাফ ও তাদের সহযোগীরা। মোবাইল ফোন চোর সন্দেহে তাকে প্রায় চার ঘণ্টা নির্যাতন করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে বাধা দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান। পরদিন সকালে পুলিশ নিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন মা ছকিনা বেগম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যায় মামুন। সে মণিরামপুর আলিয়া মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
বিষয়টি নিয়ে মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, মানববন্ধনের কথা শুনেছি। মামুন হত্যার ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। জড়িত বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম