খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ পৌষ, ১৪৩১ | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

মণিরামপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন : আদালতে মানিকের স্বীকারোক্তি

মণিরামপুর প্রতিনিধি

মণিরামপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় ডিবি পুলিশের হাতে আটক জাহিদ হাসান মানিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আটক জাহিদ হাসান মানিক (২৪) যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের চাঁদ মিয়ার পুত্র। যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম গত শনিবার ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটক মানিক জোড়া খুনের ঘটনায় নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে যে জবানবন্দি দিয়েছিল সে একই কথা পেশ করেছে আদালতের বিচারকের নিকট। তার স্বীকারোক্তিতে প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার হয়েছে জোড়া খুনের ঘটনায় সে ছাড়া আর কেউ জড়িত ছিল না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, জাহিদ হাসান মানিক আদালতকে বলেছে, নিহত বাদলের সাথে তার পূর্ব পরিচয় ছিল। বাদল এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে ওই নারীর দিকে হাত বাড়ায় বাদলের সাথে চলাচলকারী একই সাথে নিহত আহাদ আলী। এরই জের ধরে আহাদকে শায়েস্তা করতে বাদল জাহিদ হাসান মানিককে ম্যানেজ করে। সে মোতাবেক গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যার আগে বসুন্দিয়ার জয়ন্তা বাজারে কেরামবোর্ড খেলা শেষে বেড়ানোর কথা বলে বাদলের মোটরসাইকেলে আহাদ, মানিক ও বাদল মণিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে আসে। মানিক ছিল চালকের স্থানে, আর মোটরসাইকেলের মাঝখানে আহাদ এবং পিছনে ছিল বাদল। মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় পিছন থেকে বাদল আহাদের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায় ধস্তাধস্তি শুরু হলে মোটরসাইকেল পড়ে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় আহাদ বাদলের কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে বাদলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এরই মধ্যে বাদলের ভাড়া করা জাহিদ হাসান মানিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে মানিক জানতে পারে বাদল ও আহাদ দু’জনই মারা গেছে।

উল্লেখ্য, মণিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার জয়ন্তা গ্রামের স্যাটেলাইট ক্যাবল লাইনের কর্মী বাদল (২৪) ও আহাদ (২৫) খুনের ঘটনায় নিহত বাদলের মা আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন ১৬ অক্টোবর মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় যশোর ডিবি পুলিশে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!