মণিরামপুরে গলা কেটে ও বালিশ চাপায় হত্যার ভয় দেখিয়ে আপন মামা শফিকুলের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে এক প্রকার পিতা-মাতা হারা ওই শিশু ধর্ষক মামার বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকলেও পুলিশ খবর পেয়েও ভিকটিমকে উদ্ধারসহ ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য কোন তৎপরতা দেখায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ধর্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তা ব্যর্থ হয়। গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেবীদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মায়ের সাথে পিতার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর পিতা বসবাস করেন সিলেটে। আর দারিদ্রতার কারণে মা ভারতে গিয়ে কাজ করেন। ফলে এক প্রকার পিতা-মাতা হারা শিশুটি দেবীদাসপুর গ্রামের মোহাম্মদ সরদারের পুত্র শফিকুল ইসলাম (৩৪) মামার বাড়িতে থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে শফিকুল। বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী শিশুটির কান্নাকাটি শুনে এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের জানায়। তৎক্ষণে ধর্ষক শফিকুল বাড়ি থেকে সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে সোমবার গণমাধ্যম কর্মীরা শফিকুলের বাড়িতে গেলে নির্যাতিত ওই শিশু জানায়, তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। সে আরো জানায়, তার মামা শফিকুল গলা কেটে ও বালিশ চাপায় হত্যার ভয় দেখিয়ে তার উপর ইতিপূর্বেও অনেকবার পাষবিক নির্যাতন চালিয়েছে। তার ভাষ্য ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি থানার ওসি ও দারোগা পারভেজকে জানানো হলেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে কেউ আসেনি।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক জানান, তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে বলেছিলেন। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির সাথে কথা বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন।
থানা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে শিশু ধর্ষণের তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ বাদী না হলে পুলিশ খোঁজ খবর নিয়ে কি করবে। এক পর্যায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে থানার ওসি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম