মণিরামপুরে অর্ধশত বছরের কয়েকশ’ শীর্ষ সরকারি গাছ কর্তনের পর হরিলুট হয়ে অবশিষ্ট থাকা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যবান লগ (কাঠ) রোদ বৃষ্টিতে নষ্ট হতে চলেছে। খোলা আকাশের নীচে উক্ত কাঠ স্তুপ করে রাখা হয়েছে পৌর শহরের শহীদ মসিয়ূর রহমান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের সামনে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি উক্ত কাঠ তিন দপ্তরের মালিকানা-অধীনস্ত টানাপোড়েনের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়। যে কারণে মহাসড়কের দু’পাশে থাকা প্রায় অর্ধশত বছরের কয়েকশ’ মেহগনি, রোড শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ কর্তন করা হয়। বহু গাছ কর্তনের পর পর্যায়ক্রমে সড়কের উপর থেকেই হরিলুট হয়ে যায়। কর্তনকৃত উক্ত গাছের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ, বন বিভাগ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ এই তিন দপ্তর কর্তৃপক্ষ নিজেদের দাবি করে টানা-হেঁচড়ায় লিপ্ত হয়। সে কারণে সড়কের পাশে পড়ে থাকা কর্তনকৃত গাছ সহজে লুটপাট হয়। এক পর্যায় তিন দপ্তরের মধ্যে টানা-হেঁচড়া মিমাংসা হলে জেলা পরিষদ গাছের সিংহভাগ লগ কাঠ যশোর জেলা পরিষদে নিয়ে যায় এবং অবশিষ্ট অংশ মণিরামপুরে শহীদ মসিয়ূর রহমান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের সামনে স্তুপ করে রাখা হয়।
স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি ওই কাঠ অনেক মূল্যবান। যার আনুমানিক মূল্য অর্ধকোটি টাকা হবে। কিন্তু খোলা আকাশের নীচে রাখা কাঠ রোদ-বৃষ্টির কারণে তার গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে ওই কাঠের মূল্য বর্তমান অবস্থায় দশ ভাগের এক ভাগও পাওয়া যাবে না।
এ বিষয় জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আরিফুজ্জামান ও জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী জানান, কর্তন করা গাছের লগ মূল্যবান হওয়ায় সেগুলো শহীদ মসিয়ূর রহমান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের সামনে রাখা হয়েছে। ওই কাঠ বিক্রয়ের জন্য দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম