মহানগরীর লবণচরা, টুটপাড়া, পূর্ব বানিয়াখামার, মহেশ্বরপাশা, জোড়াগেট এবং রূপসা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকা থেকে গত মাসে ভ্রাম্যমান আদালত ৩০ জন মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। সাজার মেয়াদ ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে যশোরের কেশবপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সামসুর সরদারের পুত্র ইমরান সরদার, আহাদ আলী সরদারের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার, খুলনার রূপসা উপজেলার শিরগাতী গ্রামের শেখ সাইদুর রহমানের পুত্র শেখ আমীর হোসেন, যুগীহাটী গ্রামের আসলাম মোড়লের পুত্র ফয়সাল মোড়ল, দেয়াড়া গ্রামের আনোয়ার তালুকদারের পুত্র কামাল তালুকদার, পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের জাকির মোল্লার পুত্র ফারুক মোল্লা, ইসমাইল ব্যাপারীর পুত্র ফারুক ব্যাপারী, রাজাপুর গ্রামের তাপস দাসের স্ত্রী শ্যামলী দাস, ইলাইপুর গ্রামের মোঃ বেলাল শেখের পুত্র মোঃ কামরান শেখ, তালিমপুর গ্রামের হাবিব হাওলাদারের পুত্র মিলন হাওলাদার, বাগমারা গ্রামের মোঃ মুনুসর শেখের পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম, রামনগর গ্রামের আহমদ মোল্লার পুত্র সেলিম মোল্লা, চাঁদপুর গ্রামের আলতাফ মুন্সির পুত্র ওসমান মুন্সি, পূর্ব যুগিহাটী গ্রামের মোঃ ফেরদৌস শেখের পুত্র ওলিউর রহমান হৃদয়, আইচগাতী গ্রামের চিত্ত রঞ্জন সাহার পুত্র লিটন কুমার সাহা, পূর্ব বানিয়াখামার চৌধুরী গলির আজাদ চৌধুরীর পুত্র ফারুক চৌধুরী, পশ্চিম বানিয়াখামারের ফরিদ শেখের পুত্র রিপন শেখ, বসুপাড়া আজাদ লন্ডী মোড়ের তৈয়ব আলী শেখের পুত্র সেকেন্দার শেখ, গগনবাবু রোডের কাজী মাহমুদ আলম খোকনের পুত্র কাজী রাফসান মাহমুদ পার্থ, আলতাপোল লেনের আব্দুল গফুরের পুত্র জসিম উদ্দিন, লবণচরার গোড়াখালের পাশের্^ আফজাল শেখের পুত্র মোঃ টুকু শেখ, আব্দুর রহমান মিরাজীর পুত্র মাসুদ রানা মিরাজী, একই এলাকার মোজাহিদ পাড়ার মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মোঃ হাসিবুল ইসলাম আলভী, দক্ষিণ টুটপাড়া মহিরবাড়ী খালপাড় এলাকার আবুল হোসেন ঢালীর পুত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম ঢালী, বয়রা পূঁজাখোলা এলাকার মুজিবুর শেখের পুত্র মোঃ তহিদুল শেখ, নতুন বাজার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ এলাকার কামরুল হোসেনের পুত্র মোঃ রুবেল ও মুঞ্জিল শেখের পুত্র মোঃ ইয়াসিন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ খুলনা সার্কেলের পরিদর্শক পারভীন আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিদিনই মাদক নির্মূলে অভিযান চলছে। মহানগরী ও তার পাশর্^বর্তী এলাকায় মাদক ব্যবসায়িদের সংখ্যা কমেছে। তিন মাস পরপর ব্যবসায়িদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে। জনসচেতনতার কারণে মাদকসেবী ও ব্যবসায়িদের ব্যাপকতা কমেছে।সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম