খুলনায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল হালনাগাদ কার্যক্রমের শেষ দিন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হয়েছে ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের কার্যক্রম। তবে তথ্য সংগ্রহকারীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে তথ্য নেননি-এমন অভিযোগ নগরীর অনেক বাসিন্দার।
খুলনা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনায় বর্তমানে ভোটার রয়েছে ২০ লাখ ৫৮ হাজার ২৯৩ জন। গত ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ৭২ হাজার ৬৭৬ জন নতুন ভোটার ও ২১ হাজার ৪১৯ জন মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি নগরীর বয়রা এলাকায় বসবাস করি পরিবারসহ। ভোটার হালনাগাদের সময় মাঠ কর্মীরা আমার বাড়িতে আসেনি। এ জন্য আমার ছেলে ভোটার হতে পারেনি।
নগরীর শীতলা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা আমার বাড়িতে আসেননি।
এ অভিযোগের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার যোগ্য ব্যক্তিদের ও ইতোমধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের তথ্যফরম বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ করেছেন। এই তথ্য সংগ্রহে কোন ভোটার যোগ্য ব্যক্তি বিভিন্ন কারণে তথ্যফরম পূরণ করতে না পেরে থাকেন তারা পাশ্ববর্তী নির্বাচন অফিসে আবেদন দিয়ে ভোটার হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪ টি উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। চার উপজেলার মধ্যে রয়েছে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা। চারটি রেজিস্ট্রেশন টিম ভোটারদের ছবি উঠানো, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করবে।
খুলনা গেজেট/এনএম