খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন
  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা

ভৈরব সেতুর কাজে ধীরগতিতে উপ-সচিব’র অসন্তোষ

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব ফাহমিদা হক খান ভৈরব সেতুর জাজের অগ্রগতি সাড়ে ১৪ মাসে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এ তথ্য জেনে মারাত্মক অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ প্রদান করেন। উপ-সচিব আজ সন্ধ্যায় ভৈরব সেতুর পূর্ব সাইড দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনাইটেড ক্লাব মাঠে সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিঃ (করিম গ্রুপ) এর অফিস প্লাস বেসক্যাম্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে ভৈরব সেতুর কাজের সামগ্রিক অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময়কালে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

মতবিনিময়কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সেতুর তদারকি সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ, ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (ব্রিজ ইউং) এর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপ্না বেগম, খুলনা সড়ক বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান, ভৈরব সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার এস এম নাজমুল, ডি পি এম মোঃ মিজানুর রহমান, ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান, লটারিয়ান শেখ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভৈরব সেতু নামে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। এরপর ২০২০ সালের ২৭ জুলাই খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ভৈরব নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করেন। প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিঃ (করিম গ্রুপ) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ১৩ দিন পর ২৬ নভেম্বর উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ৩১৬ কিলোমিটার। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬’শ ১৭ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮১ কোটি টাকা। বাকি টাকা সেতু সংক্রান্ত অন্যান্য কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কার্যাদেশ পাওয়ার সাড়ে ১৪ মাস পার হলেও কাজের অগ্রগতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। ভৈরব সেতুর পিলার বসবে মোট ৩০ টি। প্রত্যেক পিলারের জন্য ১০ টি টেস্ট পাইলিং করতে হবে। সেই হিসেবে মোট টেস্ট পাইলিং হবে ৩০০ টি। এ পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ৩০ টি। কাজের অগ্রগতি ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ শুরু থেকে ভৈরব সেতুর কাজের গতি আনায়ন এবং দ্রুত ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন করার প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে আসলেও ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে সেতুর কাজে গতি আসছে না। ভৈরব সেতুর কাজের এ অগ্রগতি দেখে খুলনাবাসী ক্রমান্বয়ে হতাশ হচ্ছেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!