যশোরের ভৈরব নদ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত আব্দুস সামাদ (৬৫) সদর উপজেলার শমসপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত ২০ দিন আগে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফিরে যাননি। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামে ভৈরব নদ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ভৈরব নদের পাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরবর্তীতে তারা পাড়ে গিয়ে দেখতে পান এক ব্যক্তির মরদেহ ভাসছে। ওই ব্যক্তির মুখে পাকা দাড়ি, চুলও পাকা। এছাড়া খয়েরী রঙের জামা ও চেক লুঙ্গি পরা ছিল। তাৎক্ষণিক থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। এসময় তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে রুবেল হোসেন জানান, তার বাবা ২০ দিন আগে নিখোঁজ হন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পেয়ে বাবার মৃতদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে একদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে তিনি দাইতলা বাজারে ঘোরাফেরা করতেন। তবে মৃত্যুর বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবেই তিনি মারা গেছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্তের উপর পরিবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবশ্য তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এর নেপথ্যে অন্য কিছু আছে কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি