ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণার মধ্যমে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ছেলে ও পিতা-মাতার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার অভয়নগরের প্রেমবাগ গ্রামের সৈয়দ মহাসিন আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে পিবআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামের কাজী আশিক আল মামুন সজীব, তার বাবা কাজী রেজাউল ইসলাম ও মা মফিয়া খাতুন ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা সৈয়দ মহসিন অলমের আত্মীয়। আশিক আল মামুন সজীব নিজেকে মন্ত্রণালয়ে চাকরি করে বলে পরিচয় দেন। দুই বছর আগে আশিক প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে অফিস সহকারী পদে চাকরির প্রস্তাব দেন মহসিন আলমের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে মুনিয়ার জন্য। চাকরি দিতে আশিক ১০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন।
আশিকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর ২৭ নভেম্বর আশিক একটি নিয়োগপত্র দেন মহসিন আলমকে। এরপর পহেলা ডিসেম্বর নিয়োগপত্র নিয়ে ঢাকা মিরপুরের শিক্ষা অধিদফতর সেকশন-২ এ হাজির হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়োগ পত্রটি দিলে সেটি ভুয়া ও জাল বলে কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন। এ সময় আশিকের কাছে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আশিকের পিতা-মাতার কাছে ফোন দিলে তারা চলে আসতে বলেন এবং টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আসমিরা টাকা ফেরত না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। ৯ ডিসেম্বর আসামিদের ডেকে টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে চলে যান। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড