দোকান ভরা বই, মাঠ ভরা দর্শনার্থী; তবু ঠিক বেচাবিক্রি বাড়ছে না খুলনার অমর একুশে বইমেলায়। রবিবার (৪ফেব্রুয়ারি) নগরীর বয়রা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।
তবে বিক্রেতারা বলেছেন, বইমেলা শুরু হয় বৃহস্পতিবার। গত দুইদিন ছুটি থাকায় রবিবার ভিড় তুলনামূলক কম। আবার দর্শনার্থী থাকলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি বইয়ের বিক্রি। তাই সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়তে পারে।
বইমেলায় আসা নাজমুল হাসান নামে এক পাঠক বলেন, আমার উপন্যাসের বইয়ের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি বই ছাড়া এখন তেমন নতুন বই না আসায় একটু তো খারাপ লাগছে। তবে হ্যা বেশকিছু বই ভালো লেগেছে । দুটো বই নিয়েছি দাম সীমার মধ্যে থাকলে সামনে আরো বই নিবো।
দর্শনার্থী-পাঠকদের এমন আনাগোনার সঙ্গে বিক্রির কোনো মিল নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। রুশদা প্রকাশনীর বিক্রেতা অশ্রু বলেন, এবার শুরু থেকে মেলায় মানুষ আসছে, ভালোই লাগছে। তারা বই খুলছেন, দেখছেন, চলে যাচ্ছেন। ভিড় থাকলেও বিক্রি সেই রকম বিক্রি নেই।
বয়রা গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অথৈয় বলেন, আমি আমার শিক্ষিকার সাথে এসেছি। খুব ভালো লাগছে । কিছু বই আজকে পছন্দ হয়েছে। সেগুলো কেনা হয়নি। এগুলো লিস্ট করে রাখছি। আস্তে আস্তে কিনবো।
চন্দ্রবিন্দুর প্রকাশক মঈন ফারুক বলেন, ব্যবসা ভাল হচ্ছে না, তবে আশা আছে পহেল ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পুজো (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর পর কয়েকটা অনুষ্ঠান থাকায় বই বিক্রি বাড়তে পারে। পাঠকরাও একটা বই নিতে অনেক বার ভাবছে। এমনিতে বই মেলা মোটামুটি গুছানো আরও একটু গুছানো হলে ভালো হতো আমি মনে করি। তবে অনেকই বই কিনতে আসে না। উনারা শুধু ঘুরতে আসে। এটা অবশ্য ভালো দিক। সব মিলিয়ে আসা করি একেবারে খারাপ যাবে না বই মেলা। আবার একেবারে ভালোও যাবে না।
মেলামঞ্চের আয়োজন
বইমেলার মঞ্চে আজ টি এন্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক। পরে রাইটার্স ক্লাব সাহিত্য সংগঠনের কবি, লেখক ও বাচিক শিল্পীদের সাহিত্য আড্ডা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে কৃষ্টিধারা, অনুরাগ সঙ্গীত একাডেমী, বটিয়াঘাটা এবং ছন্দা মিউজিক একাডেমী, খুলনার শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সালমানুল মেহেদী মুকুট এবং সামিয়া আক্তার নিতু।
খুলনা গেজেট/ এএজে