খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮
রিকশা চালকের স্বীকারোক্তি

ভাড়া না দিয়ে গালিগালাজে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসের হেলপারকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মদ্যপ অবস্থায় রিকসা ভাড়া না দিয়ে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় উত্তেজনাবশত পরিবহন হেলপার মোঃ সাব্বিরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হাসান শেখ নামের এক রিকশা চালক। গুরুতর জখম অবস্থায় পরিবহন হেলপার সাব্বিরকে গাড়ির ভেতর রেখে পালিয়ে যায় হাসান শেখ। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাব্বির মারা যায়।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর হাকিম সরোয়ার আহমেদ’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন হাসান শেখ। জবানবন্দীর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সুকান্ত দাস জানান, গত শুক্রবার ভোর রাতে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সোহাগ পরিবহনের হেলপার মোঃ সাব্বিরকে বাসের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার মাথা, ঘাড়, হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই হাসান শেখকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শিববাড়ি মোড়ে সোহাগ পরিবহনের গাড়ি রেখে নগরীর বার্মাশিল এলাকায় মদ খেতে যায় সাব্বির। পরে একই রিকসায় গাড়ির কাছে ফিরে এসে ভাড়া না দিয়ে রিকসা চালককে গালাগাল শুরু করে সে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ্য করতে না পারে হেলপারের সঙ্গে রিকসা চালকের হাতাহাতি বেঁধে যায়। একপর্যায়ে রিকসা সিটের নিচ থেকে ছুরি এনে হেলপারকে কুপিয়ে বাসের মধ্যে ফেলে রেখে যায় হাসান শেখ। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাব্বির মারা যায়।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, নিহত সাব্বির হত্যাকাণ্ডের আগে রিকসা চালক হাসানকে নিয়ে মদ সেবন করে। পরে ভাড়া দেওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে হাসান উত্তেজিত হয়ে পড়লে তার রিকসার সীটের নিচে রাখা ছুরি দিয়ে সাব্বিরকে এলোপাতাড়িভাবে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ নিহত সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ঘটনা স্থলে আলামত উদ্ধারের সময় পুলিশ হাসানকে এলোমেলোভাবে ঘুড়াঘুড়ি করতে দেখে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরে হাসান নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তি দেয়। তার দেখানো মতে মামলার সকল আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী হাসান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি খুঁজতে এসেছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, কেডিএ এভিনিউস্থ হোটেল টাইগার গার্ডেনের বিপরীতে পার্কিং করা সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭১৫৩) শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর যেকোন সময়ে হেলপার সাব্বির শেখ (১৭) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা, ডান হাতের উপরের অংশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করা হয়। এঘটনায় ভিকটিমের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১৯। নিহত সাব্বির বাগেরহাট জেলার বাখরগঞ্জ বাজারের ধুমকালিপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!