খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮
খুবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয়তাবাদ ও স্বাতন্ত্র্য চেতনায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল : আতিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর: উৎস থেকে মোহনায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে আলোচনা সভা আজ ২১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

তিনি বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের আগে এবং পরে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, শ্রেণি বৈষম্য, মধ্যবিত্ত, কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয়তাবাদ ও স্বাতন্ত্র্য চেতনায় বিস্ফারণ ঘটিয়েছিলো। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি রচিত হয়। ভাষা আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরাও এ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে এ আন্দোলন রাজপথে নেমে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমানও প্রত্যক্ষভাবে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে চুয়ান্ন’র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এ সকল স্তরের আন্দোলন সংগ্রাম চালিত করেছে মূলত বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও প্রভাব। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সকল স্তরে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্বদান করেন। একই সাথে তার দূরদর্শিতা ও ত্যাগের কারণেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হয়। আর এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের রূপ লাভ করে।

সভায় আলোচক হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। সভাপতির বক্তৃতা উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য বলেন, মুখ্য আলোচক যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের আগে এবং পরে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সামগ্রিক চিত্র ফুটে উঠেছে। একই সাথে ইতিহাসের এই ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরার নেতৃত্বে প্রভাতফেরি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পৌঁছায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সেখানে তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এর পরপরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, আবাসিক হলসমূহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে উপ-উপাচার্য আইন ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে প্রকাশিত একুশের স্মরণিকা দেয়াল ভাঙ্গার গান এর পঞ্চম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় আইন স্কুলের ডিন ও আইন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত এবং ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল, মন্দিরে প্রার্থনা এবং সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!