শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করা আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ এবার বাংলাদেশ। আফগানরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নতুন হলেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আফগানদের আগ্রাসী ক্রিকেট দেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেও তাদের ফেবারিট হিসেবে ধরতে শুরু করেছেন অনেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী আফগানিস্তান। আর ভালো খেলতে চায় বাংলাদেশ।
এদিকে শারজায় অনুষ্ঠিতব্য মঙ্গলবারের ম্যাচ ঘিরে আলোচনায় চলে এসেছে পিচ। বিশেষ করে ম্যাচটি শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে বিধায়, আফগান স্পিনারদের কাজ আরও সহজ হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। তবে বাংলাদেশও তেমনই সুবিধা পাবে।
শারজার উইকেট নিয়ে নবি বলেন, ‘আমি এখনো জানি না, পিচের আচরণ কী হবে। কখনো প্রপার ব্যাটিং পিচ পাওয়া যায়, কখনো কখনো টার্নিং পিচ মেলে। আমি জানি না। বাংলাদেশও দেশের মাটিতে এ ধরনের পিচেই খেলে। তারা ঘরের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলে। আর আমরা এরই মধ্যে শারজাতে অনেক ম্যাচ খেলেছি। দুই দলের জন্যই হয়তো উইকেট মানানসই হবে। ’
শারজাহর উইকেট কখনও কখনও স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দেয়, সেটি জানা আছে নাবিরও। তবে সেটি হলে যে বাংলাদেশের জন্যও কাজটি সহজ হবে সে বিষয়েও সতর্ক আছেন আফগান অধিনায়ক।
স্পিনিং উইকেট হলে যে বাংলাদেশের জন্যও সুবিধা হবে সে কথা মনে করিয়ে নাবি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের দেশে এ ধরনের পিচেই খেলে। তারা ঘরের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলে। আর আমরা এরই মধ্যে শারজাহতে অনেক ম্যাচ খেলেছি। দুই দলের জন্যই হয়তো উইকেট মানানসই হবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আফগানিস্তানের তিন স্পিনার মোহাম্মদ নাবি, মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান মিলে ১২ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৫০ রান, শিকার করেছেন ৪ উইকেট। শুধু দুবাইয়ের উইকেট বা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলেই নয়, যেকোন দিনই প্রতিপক্ষের জন্য সমান ভয়ঙ্কর আফগানদের এ স্পিনাররা।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের তাদের নিয়ে করতে হবে আলাদা পরিকল্পনা। এর সঙ্গে যদি উইকেটের সাহায্য যোগ হয় তাহলে কাজ আরও কঠিন হবে ব্যাটারদের জন্য। তবে আপাতত সেটি নিয়ে ভাবতে রাজি নন নাবি। কেননা শারজার উইকেট যেমন স্পিন সহায়ক হয়, আবার অনেক সময় পুরোপুরি ব্যাটিংবান্ধবও হয়।
মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আসলে ভালো খারাপ এটা কিন্তু মাঠে প্রমাণ হবে। দেখেন যে, একটা ভালো দল যদি মাঠে খারাপ খেলে অবশ্যই ম্যাচ হেরে যায় আবার খারাপ দল ভালো খেললে জিতে যায়। মন্তব্যটা কিন্তু এরকম না যে আমরা খারাপ আমরা ভালো। কিন্তু মাঠে পরিচয় হবে কে ভালো কে খারাপ। কারণ যারা ভালো খেলবে দিন শেষে তারাই ম্যাচ জিতবে।’
মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই জিততে চাই, সবাই জিততে চায়। জিততে গেলে যেসব প্রক্রিয়া আছে, ব্যাটারদের রান করতে হবে, বোলারদের উইকেট নিতে হবে। কিভাবে একটা দল জিততে পারে…সবাইকে একসাথে পারফর্ম করতে হবে।’
নিজেদের দলগত শক্তির কথা মনে করিয়ে মিরাজ যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ দল তখনই ভালো খেলে যখন আমরা একসাথে সবাই ভালো খেলি। এক/দুইজনের ব্যক্তি পারফরম্যান্স দিয়ে কখনো দলের ফল পক্ষে আনা যায় না। বিশেষ করে এরকম টুর্নামেন্টে তো কখনোই না। এজন্য সবাইকেই ভালো খেলতে হবে এবং সবাইকে দলগতভাবে ভালো খেলতে হবে। এটা যদি করতে পারি আমরা অবশ্যই খুব ভালো ফল পাবো।’
মিরাজও মনে করেন, শারজাহতে যারা ভালো ব্যাটিং করবে তাদেরই জয়ের সুযোগ বেশি থাকবে। তার ভাষ্য, ‘আমরা উইকেট থেকে যে সুবিধা পাবো ওরাও সেই সুবিধা পাবে। কারণ, ওদেরও স্পিন এ্যাটাক ভালো, আমাদেরও স্পিন এ্যাটাক ভালো। দেখতে হবে কারা ওই উইকেটে ভালো ব্যাটিং করছে। যারা ভালো ব্যাটিং করবে তাদের পক্ষে ফল যাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে।’