বৃষ্টির পর ফের খেলা শুরু হলেও সুবিধা করতে পারেনি নেপাল। মাত্র ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
শক্তির বিচারে বলতে গেলে নেপালকে আরও আগেই গুটিয়ে দেওয়া উচিত ছিল ভারতের। এ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে ভারত অধিনায়কেরও। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া দলটির বাজে ফিল্ডিংয়ে শুরুটাই ছিল নড়বড়ে।
৫ ওভারের মধ্যে তিনবার কুশাল ভুর্তেলের ক্যাচ ছাড়েন ভারতীয় ফিল্ডাররা। সবগুলোই একেবারে সহজ ক্যাচ বলা যায়। মোহাম্মাদ শামির করা প্রথম ওভারের শেষ বলে প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ ছাড়েন শ্রেয়াস আয়ার। পরের ওভারের প্রথম বলে শর্ট কভারে আরও সহজ ক্যাচ ছাড়েন বিরাট কোহলি। বোলার মোহাম্মাদ সিরাজ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বিষ্ময় প্রকাশ করেন দলের অন্য খেলোয়াড়রাও। আর পঞ্চম ওভারে কিপার ইশান কিষানও ভুর্তেলের সহজতম ক্যাচটি গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি।
এরপর ভারতীয় বোলারদের উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চার-ছক্কা মারতে থাকেন ভুর্তেল। ভারতের মাথাভ্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই ওপেনারকে ফেরান শার্দুল ঠাকুর। উইকেটের পেছন থেকে ভুর্তেলের ক্যাচ ধরতে দ্বিতীয়বার ভুল করেননি কিষান। ২৫ বলে দুটি ছক্কা ও তিন চারে ৩৮ রান করেন ভুর্তেল।
এরপর দুটি ত্রিশোর্ধো জুটি পায় নেপাল। ৩৬ বলে ৩৪ রানে অবিচ্ছিন্ন আছে সপ্তম উইকেটে সোম্পাল কামি ও দিপেন্দ্র সিং আইরির জুটি।
জাদেজা ৩৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪৬ রানে ২ শিকার মোহাম্মাদ সিরাজের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। নেপাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
পাকিস্তান ম্যাচের ভারত দলে এদিন পরিবর্তন একটি। সদ্য পুত্র সন্তানের পিতা হওয়া জাসপ্রিত বুমরাহ দেশে ফিরেছেন। তার জায়গায় এসেছেন শামি। নেপাল দলেও একটি পরিবর্তন। আরিফ শেখের জায়গায় এসেছেন ভিম শার্কি।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে দুই পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে উঠে যাবে ভারত।
খুলনা গেজেট/এইচ