ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ভারত থেকে সরকার অনুমোদিত চালের বড় একটা অংশ দেশে আসেনি। করোনার কারণে সে দেশ চাহিদা অনুযায়ী চাল পাঠাতে পারেনি। বেসরকারি পর্যায়ে কম আমদানি, বৈরী আবহাওয়ায় বোরোর কম উৎপাদনে চালের ঘাটতি রয়ে গেছে। ঘাটতি পূরণে আগামী মাসে আবারও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির নির্দেশনা আসছে।
খুলনাঞ্চলের ১৪ জন আমদানিকারক জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি পান। অনুমতিপ্রাপ্ত ৪৯ হাজার ৫ শ’ মেট্রিক টনের স্থলে ৪৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আসে। প্রথম চালানে বেনাপোল, দর্শণা ও ভেমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে আসতে যেয়ে যানজটে পড়ে। ফেব্রæয়ারি মাসে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। মার্চ মাসে ১২ জন আমদানিকারক ৪৩ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পান। ৩০ মার্চ পর্যন্ত অনুমতির শেষ দিনে ৮ হাজার ১শ’ ৮০ মেট্রিকটন চাল আসে। এর মধ্যে উল্লেখযেগ্য ছিল বঙ্গবন্ধু নামের চাল।
আমদানিকারক কাজী এন্ট্রারপাইজের মালিক কাজী নিজাম উদ্দিন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল দিতে পারেনি। যা আমদানি হয়েছে যানজটের কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। সে দেশে করোনার বড় প্রভাব পড়ে চাল আমদানির ওপর। স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সুদ যথারীতি গুনতে হয়েছে।
অপর আমদানিকারক লবনচরার সোবহান ট্রেডিংএর মালিক কাজী আব্দুস সোবহান জানান, তার দু’টি প্রতিষ্ঠান ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। সরকার নির্ধারিত ৩০ মার্চের মধ্যে অন্যান্য আমদানিকারক চাল আনতে পারেনি। এ আমদানিকারকের অভিযোগ, ভর্তুকির প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা এখনও পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট মেটাতে আগামী মাসে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির নির্দেশনা আসছে। তার অভিযোগ, সরকারের নির্ধারিত সময়ের পর দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে নওয়াপড়ার আদিত্য মজুমদার ও তীর্থ মজুমদার ভারত থেকে চাল আমদানি করছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই