সরকারিভাবে কেনা ভারতীয় চালের প্রথম চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌছাবে জানুয়ারি নাগাদ। এ বন্দরে আসা চাল রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন গুদামে যাবে। সরকারি খাদ্যগুদামে মজুদ বৃদ্ধি ও খোলা বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভারত থেকে এক লাখ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হচ্ছে। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ পর্যায়ক্রমে মোংলা বন্দরে আসবে।
খাদ্য বিভাগের সূত্র জানায়, ভারত থেকে সরকারিভাবে কেনা চালের প্রথম চালান ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছেছে। এমভি সেঁজুতি নামক জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে চাল খালাস করছে। সেঁজুতি চার হাজার ২শ’ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল নিয়ে আসে। সরকার ভারতের পিকে এগ্রি লিংক ও রিতা ইমপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর সাথে এক লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির চুক্তি করে। তার মধ্যে চার হাজার ২শ’ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় চলাচল ও সংরক্ষক নিয়ন্ত্রক বাদল কুমার বিশ^াস জানান, চুক্তির প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছালেও মোংলা বন্দরের প্রথম চালান পৌছাবে আগামী জানুয়ারি মাসে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ বন্দরে ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল আসবে।
খুলনা বিভাগীয় খাদ্য চলাচল ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারি উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুস সোবাহান জানান, আপাতকালীন মজুদ গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকার কোনক্রমেই খাদ্যগুদামে চাল ও গম শূন্য হতে দেবে না। বিভাগের ১০ জেলায় আপাতত চালের কোন ঘাটতি নেই। বিভাগের ৭১টি গুদামে ৫৭ হাজার ৪২২ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। আমনের ৩৩ হাজার চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। খোলা বাজারে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে খুলনাসহ চারটি বিভাগীয় শহরে ওএমএস চালুর করার চিন্তা ভাবনা চলছে। তিনি জানান, সরকার বেসরকারি পর্যায়ে সীমিত পরিমাণ চাল আমদানি করার অনুমতি দেবে। থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে দাম কম হলে আমদানিকারকরা সেসব দেশ থেকে চাল আমদানি করতে পারবে।
উল্লেখ্য, চাল আমাদানিতে শুল্ক হার অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমানো হয়েছে। এতোদিন আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হলেও এখন ২৫ শতাংশ দিতে হবে। পাশাপাশি নতুন শুল্কহারে চাল আমদানি করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম