দৈনন্দিন বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে ভারতের সোলার ইপিসি নামক কোম্পানী খুলনায় দুটি ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাথে ভারতীয় এ কোম্পানীর চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি থেকে সৌর পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
নেত্রকোনায় পিডিবির সাথে চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় এ কোম্পানী ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সে আদলেই খুলনা নগরীর হাদীস পার্কের পুকুরে ও নগর ভবনের অব্যবহৃত ছাদে এ প্রকল্পের জন্য স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত ৬ জুন কেসিসির সাথে ভারতীয় এ বিদ্যুৎ কোম্পানীর চুক্তি সম্পন্ন হয়। সৌর পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ খুলনা সিটি কর্পোরেশন ভারতীয় কোম্পানীর কাছ থেকে কিনে নেবে।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ শেখ জানান, ইতোমধ্যে প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় কারিগরি প্রতিনিধি দল খুলনা সফর শেষে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ডিসেম্বরে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে দুই মাস সময় লাগবে। তিনি আশা করেছেন ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতীয় এ কোম্পানী সৌর পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ জোগান দিতে সক্ষম হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, কেসিসির ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেট মিটারিংয়ের মাধ্যমে ওজোপাডিকোকে সরবরাহ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহারে সাধারণ জনগণকে উৎসাহিত ও লাভসহ বিনিয়োগ ফেরতে সরকার নেট মিটারিং নীতিমালা তৈরি করেছে। যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানী থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাই ডিরেক্শন মিটারের মাধ্যমে গ্রীড লাইনে সরবরাহ করা হবে। গ্রীড লাইন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুতের দাম সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে প্রদান করবে। সৌর পদ্ধতির এ বিদ্যুৎ নগর ভবন ও স্ট্রীট লাইটে ব্যবহার হবে।
উল্লেখ্য, মংলা সমুদ্র বন্দরে ভারতীয় এ কোম্পানী ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে।