ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা। বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান তারা।
সমাবেশে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত উন্মাদ হয়ে গেছে। নানা অপপ্রচার চালিয়ে তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম পুলিশ সদস্যরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে সাবেক পুলিশ সদস্যরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন।
আশরাফুল হুদা বলেন, অপরাধীকে আশ্রয় দেয়া অপরাধ, এটি ভারত সরকারকে বুঝতে হবে। আবার শেখ হাসিনাকেও বুঝতে হবে, বিদেশের মাটিতে বসে দেশের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের তীব্র সমালোচনা করে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আকবর আলী বলেন, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ভারত তখন এত অস্থিরতা দেখায়নি। এখন ভারত কেন উন্মাদের মতো আচরণ করছে?
তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতের দালালি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ দেশ স্বাধীন করেছি।
প্রতিবাদ সমাবেশের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা ও অপপ্রচার বন্ধ করা। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন, উপহাইকমিশনসহ সব কূটনৈতিক স্থাপনায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, শেখ হাসিনার সব অপতৎপরতা বন্ধ করা, বাংলাদেশের চাওয়ামাত্র তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছ ফিরিয়ে দেয়া।
সমাবেশের আগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা প্রতিবাদ মিছিল করেন। রাজধানীর রাজারবাগ থেকে মিছিল নিয়ে তারা শান্তিনগর, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করেন।
মিছিল থেকে ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ড ইউনূস এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার পাশে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়া হয়। সমাবেশ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবাদলিপি দেন তারা।
খুলনা গেজেট/এএজে