জ্যৈষ্ঠ থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত কাঁঠালের ভরা মৌসুম। মৌসুমের শুরুতে খুলনার পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ কাঁঠালের হাটে মন্দাভাব ছিল। গত দেড় মাসে মন্দাভাব কাটেনি। ভিন্ন পেশার লোক এ ব্যবসায়ে এসে বিক্রেতার সংখ্যা বাড়িয়েছে মাত্র। রূপদিয়া মোকাম থেকে কাঁঠাল আসার পরিমাণ বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি। লকডাউনের কারণে রূপদিয়া থেকে নগর পর্যন্ত পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়েছে, ক্রেতা বাড়েনি।
হাটে ছোট বড় সব ধরণের কাঁঠাল এসেছে। টানা আটমাস অনাবৃষ্টির কারণে পরিপক্ক হয়নি। ফলে চাষীরা দাম পাচ্ছে না। মধ্যসত্বভোগী ফড়িয়ারা অল্পদামে কিনে রূপদিয়া বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বেশী দামে বিক্রি করছে। বড় অংকের লাভ পাচ্ছে ফড়িয়ারা।
ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মামুন শঙ্খ সিনেমা হলে চাকুরী করতেন। হল বন্ধ হওয়ার পর প্রথমে চা, এরপরে কাঁঠালের ব্যবসা শুরু করেন। পাওয়ার হাউজ মোড়ে কাঁঠালের হাটের খবর পত্রিকায় দেখে তিনি এ বছর ব্যবসায় নামেন।
আজ বসুন্দিয়া থেকে ৩৮ পিচ কাঁঠাল এনে পুনরায় ব্যবসা শুরু করেন। লকডাউনের কারণে ক্রেতারা হাটে আসতে পারছেনা। মজুদকৃত কাঁঠাল থেকে সাতটি বিক্রি করেছেন।
ব্যবসায়ী মোঃ জামাল হোসেনের ভাষ্য, হাটে ক্রেতা কম। লকডাউনে কাঙ্খিত আয় না থাকার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে টাকা নেই। চারদিন ধরে এ হাটে একাধিক মানুষের উপস্থিতি পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে। আজ বিক্রির সুযোগ দিয়েছে। সকালে তিনি একশ’ ৪০ পিচ কাঁঠাল বসুন্দিয়া থেকে এনেছেন। ২৫ পিচ কাঁঠাল বিক্রি করেছেন। গেল বছরের তুলনায় এ বার পরিবহন খরচ বেড়েছে। সে কারণে রসালো এ ফলের দাম বাড়তি।
ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ১২ বছর যাবৎ এ ব্যবসার সাথে জড়িত। কাঁঠালের এ রকম মন্দাবাজার তিনি এর আগে কখনো দেখেননি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বিকিকিনি একেবারে কম। তার কাছে সর্বোচ্চ ২শ’ পঞ্চাশ থেকে সর্বনিম্ন ৫০ টাকার কাঁঠাল রয়েছে।
ক্রেতা পরান বিশ্বাস জানান, কাঁঠাল সিজনাল ফল। বাড়ির সকলে পছন্দ করে। যদিও এবছর এর মান ভাল না। পরিবারের চাপে পড়ে ক্রয় করতে হয়েছে তাকে। তবে গেল বারের তুলনায় এবারের কাঁঠালে দাম ব্যবসায়ীরা একটু বেশী রেখেছে বলে তার অভিযোগ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি