খুলনার কয়রা উপজেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নূরুল আমিন বাবুল গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার রাতে খুলনার বয়রা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কয়রা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহ আলম। তিনি বলেন, খুলনার বয়রা থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়রা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যবসায়ীদের মেরে আহত করার ঘটনায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ১৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। যার নম্বর ১১।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ নূরুল আমিন বাবুলকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল প্রকার পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
জানা যায়, কয়রা বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামানের সাথে জমির শালিসকে কেন্দ্র করে বাবুলের কথাকাটি হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল ইসলামসহ তিনজন বিএনপি নেতা কয়রা বাজারের কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সামনে যান। সেখানে ‘ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং’দোকানের মালিক মনিরুজ্জামানকে ডেকে নুরুল আমিনের সঙ্গে তাঁর কী হয়েছে, জানতে চান তাঁরা। এ সময় তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ও বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামের মধ্য মারামারি বেঁধে যায়। এতে বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম আহত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন।
এরপর নুরুল আমিন সেখানে এলে তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা পুলিশের সামনেই ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামানকে মারধর শুরু করেন। এ সময় মুনছুর গাইন (৫৫), আল মামুন (৩০) এবং নুরুল হুদা (৫০) নামের তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে মুনসুর গাইনের পা ভেঙে যায়।
এলাকাবাসি সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জানতার অভ্যুত্থানের পর কয়রা থানায় ঘাট দখল, ঘের দখল, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত এই সদস্য সচিব বাবুলের বিরুদ্ধে। তার দাপটে কয়রার সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ থাকলেও ভয়ে মুখ খোলেন নি।