মহামারি করোনায় গ্রীষ্মকালীন সবজি ও গেলো মৌসুমের বোরোর কাংখিত দাম না পাওয়ায় পুঁজি হারিয়েছেন খুলনাঞ্চলের কৃষক। বোরো উৎপাদনে উৎসাহিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তিন পর্যায়ে খুলনাঞ্চলের চার জেলায় ৯৬ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দিচ্ছেন। প্রণোদনার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। বিজয় দিবসের পরপরই কৃষকের হাতে এ প্রণোদনা পৌঁছাবে।
এ বছরের মে মাসে বোরো ধান কাটার পর পরিবহন না থাকায় কৃষক হাটে ধান নিতে পারেনি। ফলে স্বল্প দামে বাড়ির খামার থেকে ধান বিক্রি হয়। অনেক ক্ষেত্রে বাকিতেও খড়কুটো বিক্রি হয়। এ অঞ্চলের কৃষক বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখিন হয়। এ ছাড়া গ্রীস্মকালীন মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ, পুঁইশাক, উচ্ছে, শসা, ঝিঙে, করোল্লা পানির দামে বিক্রি হয়। মহাজনের ঋণের সুদ টানতে হচ্ছে কৃষককে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সূত্র জানান, এ অঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ৯৬ হাজার কৃষক প্রণোদনার সুবিধা পাচ্ছে। তারমধ্যে গম, সরিষা, বোরো বীজ, টমেটো, মরিচ ইত্যাদির জন্য সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের তিন হাজার কৃষক ২৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় বেরোর জন্য শ্রমিক ও সারের জন্য ১৮ হাজার চারশ’ কৃষককে এক কোটি ৯৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, ৭৫ হাজার কৃষককে বেরো হাইব্রীড চাষের জন্য তিন কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মো: নুরুল ইসলাম জানান, মূলত: ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। প্রথম ও তৃতীয় দফায় ২০ হাজার করে এবং দ্বিতীয় দফায় ছয় হাজার সাতশ’ কৃষক প্রণোদনা পাবে। তিনি বলেন এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলায়। এখানে জমির পরিমাণ ৭৫ হাজার হেক্টর। প্রণোদনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা দেয়া হচ্ছে।
নড়াইলের জেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, জেলার ১৫ হাজার কৃষক প্রণোদনার সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ বীজ তোলা শেষ হয়েছে। এখানে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে দুই লাখ ছয় হাজার মেট্টিক টন বোরো উৎপাদিত হবে। নড়াইলের উদ্বৃত্ত খাদ্য অন্য জেলায় পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম