এ মৌসুমে বোরো আবাদে নন ইউরিয়া সারের সংকট এড়াতে কৃষি সচিবের কাছে আবেদন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক। আইলা ও ইয়াস পরবর্তী পাঁচ উপজেলায় লবনাক্ততা হ্রাস পাওয়ায় বোরো ও শীতকালীন ফসলের জমির পরিমাণ বাড়ায় নন ইউরিয়ার চাহিদা বেড়েছে। গত মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ও শীতকালীন ফসলের আবাদ হলেও এবারে তা ৭০ হাজারে পৌছাবে।
বোরোর বীজতলায় চারা এখন পরিণত বয়সে। এক সপ্তাহের মধ্যে রোপন শুরু হবে। বোরো আবাদের পাশাপাশি শীতকালীন ফসলে নন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হচ্ছে। সংকট এড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনার উপ-পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় উল্লেখ করেছেন আইলা ও ইয়াস পরবর্তী লবনাক্ততা হ্রাস পেয়েছে। কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটায় অর্থকরী ফসলের চাষ বেড়েছে। বোরোর পাশাপাশি গম, ডাল, তেল, সূর্য্যমুখী ও শাকসবজি চাষ এবার ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বেশী হবে। ফলে ইউরিয়ার পাশাপাশি নন ইউরিয়ার চাহিদা থাকবে।
জেলা প্রশাসক গত ২০ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এক আবেদনে এ মাসে নিয়মিত বরাদ্দের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি ও ২ হাজার মেট্রিকটন এমওপি সার বরাদ্দের দাবি করেছেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বোরো আবাদ শুরু হওয়ায় নন ইউরিয়া সারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা সার ডিলার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বাদশা বলেছেন, নন ইউরিয়া চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। কৃষি মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিতে বিলম্ব করেছে। প্রতি বছর বোরো মৌসুমে নন ইউরিয়া সংকট দেখা দেয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই