প্রকৃতিতে শীতের তীব্রতা কমে আগমন ঘটেছে বসন্তের। তবে খুলনাবাসীর বসন্ত ভাটা পড়েছে মশার কারণে। গত কয়েক সপ্তাহ হঠাৎ করেই মশার উৎপাত বেড়েছে। আগে মশার উপদ্রব রাতে থাকলেও এখন দিনের বেলাতেও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট নগরবাসী। ঘরে বাইরে, বাসা বাড়িতে এমন কি অফিস-আদালতেও মশার হাত থেকে রেহাই নেই। পাড়া বা মহল্লাতে ফগার মেশিন হাতে আগে সিটি কর্পেোরেশনের লোকদের দেখা গেলেও এখন তারা মশা নিধন অভিযান কমিয়ে দিয়েছে, এমনটাই অভিযোগ নগরবাসীর।
নগরীর পশ্চিম টুটপাড়ার বাসিন্দা সামিয়া আক্তার মিতা বলেন, মশার যন্ত্রণায় ঘরের দরজা জানালাও খোলা যায় না। এখনতো পরিস্থিতি এমন যে, দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। আমাদের এলাকার ড্রেনটা উন্মুক্ত, মাঝে মাঝে সিটি কর্পোরেশন থেকে আগে লোক এসে স্প্রে ছিটাতো। এখন আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “গত কয়েকদিনে মশার উপদ্রব অনেক বেড়েছে। রাতে তো মনে হয় মশা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। মশার যন্ত্রণায় যে কয়েল জ্বালাবো তারও উপায় নেই। আমার ছোট ছেলেটার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, কয়েল এর গন্ধ সহ্য করতে পারে না।”
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সংস্কারের জন্য ড্রেনের ঢাকনা সরিয়ে রাখা এবং ড্রেনের বর্জ্য বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। ফলে দিনে রাতে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত কারোরই ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) খুলনা নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় মশক নিধন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য অতিরিক্ত ফগার মেশিন ও হ্যান্ড স্প্রে ক্রয়, পানি নিস্কাশনের খালসমূহের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং মহানগরীকে দু’টি জোনে বিভক্ত করে মাসব্যাপী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল আব্দুল খালেক।