যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ১২ ট্রাক ফেব্রিকস জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বন্দরের ২৯ নম্বর শেড থেকে এসব পণ্য চালান জব্দ করেন তারা। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আটক পণ্যের আমদানিকারক দিনাজপুরের রোজামনি এন্টারপ্রাইজ। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের সুন্দরী ফ্যাশন। পণ্যে ঘোষণা দেওয়া আছে সিনথেটিক ফেব্রিকস, কিন্তু আছে সব শার্টিং ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফেব্রিক্স। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সিনথেটিক ফেব্রিক্সের স্থলে শার্টিং ফেব্রিক্স, চিনাউল ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফ্রেবিক্স আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় ওয়েইং স্কেলে ৮ টন মালামাল বেশি থাকলেও স্কেলে কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তা সন্দীপ রায় মালামাল সঠিক আছে বলে ওজন স্লিপ প্রিন্ট করে দেন।
বন্দরের সূত্র আরও জানায়, পণ্যচালানগুলো খালাসের দায়িত্বে আছেন, বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট তৃণা অ্যাসোসিয়েটস ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড। শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক এই দুটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ভাড়া করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। পণ্য চালানগুলো খালাশের দায়িত্বে নিয়োজিত শরীফুল জানান, পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্ব আমার। আমার নিজের কোনও লাইসেন্স নেই, ভাড়া লাইসেন্সেই কাজ করি। তবে মালামালগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনও পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি। টিয়ারজনিত কারণে চার টন মালামাল বেশি আছে। বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ওয়েট স্লিপ কম্পিউটার জালিয়াতি করে শরিফুল প্রতিনিয়ত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। যা তদন্ত করলে ধরা পড়বে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, পণ্য চালানগুলো কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের শেডে নামনো হয়েছে। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষণ শেষে ঠিক থাকলে পণ্যগুলো দ্রুত ছাড় দেয়া হবে। তবে অনিয়ম থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি