খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই গণহত্যার বিচারে চলতি সপ্তাহে ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ, শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে, তাদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তাও নেয়া হবে : চিফ প্রসিকিউটর
  বিসর্জনে আজ শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব

বেনাপোল কাস্টমস হাউজে দুদকের দিনব্যাপী অনুসন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর বিমানবন্দর থেকে বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তাকে ২৩ লাখ টাকাসহ আটকের ঘটনা অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। সংস্থার যশোর জেলা কার্যালয়ের একটি টিম বুধবার দিনব্যাপী বেনাপোল কাস্টমস হাউজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অভিযুক্ত খন্দকার মুকুলসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে। এ টাকার উৎস সম্পর্কে জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেন। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুব শিগগির মুকুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দুদকের সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল-আমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম বুধবার দিনব্যাপী বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অনুসন্ধান চালায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবদ করা হয় খন্দকার মুকুলকে। ওই টাকার উৎস সম্পর্কে বিভিন্নভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। মুকুলের সাথে সাইফুল ইসলাম নামে আরও এক কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিমের বক্তব্য গ্রহণ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধানে উঠে আসে, গত ২৬ আগস্ট রাজস্ব কর্মকর্তা মুকুল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সযোগে ঢাকায় যাওয়ার সময় স্ক্যানিংমেশিনে তার ব্যাগে বিপুল পরিমাণ টাকা দেখা যায়। এ বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে জানায়।

বিমানটি ঢাকায় অবতরণের পর এভিয়েশন সিকিউরিটি তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে মুকুল তা জানাতে ব্যর্থ হন। পরে ওই টাকা ও মুকুলের আইডি কার্ড জব্দ করে কাস্টম হাউজ যশোরের কাছে হস্তান্তর করেন তারা। এ ঘটনার পরই খন্দকার মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বুধবার দুদকের দিনব্যাপী অভিযানে অবৈধ টাকা রাখার বিষয়টির প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়।

দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল-আমিন বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অনুসন্ধান চালানো এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর দ্রুত সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!