খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা
চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাস

বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় হাজার কোটি টাকা

শাহ জালাল সম্রাট, বেনাপোল

চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে গত ৫ মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। এ সময়ের মধ্যে শুল্কফাঁকির অভিযোগে ৮ টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও তিন কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বছর শেষে আরো বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বাতিল হওয়া সিঅ্যান্ডএফ গুলো হলো, মেসার্স রিমু এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মাহিবি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সানি এন্টারন্যাশনাল, মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মুক্তি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স রিয়াংকা এন্টারপ্রাইজ। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বহিঃস্কৃত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন, রাজস্ব কর্মকর্তা নাশেদুল ইসলাম,সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান।

জানা যায়, গেল কয়েক বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে ব্যাপক হারে মিথ্যা ঘোষনায় শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কোন ভাবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছেনা। কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে দিচ্ছেন এ শুল্ক ফাঁকি। গত মাসেই শুল্কফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৮ টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও ৪টি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া কাস্টমসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকেও শুল্কফাঁকিতে সহযোগীতার অভিযোগে শাস্তি মুলক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে হাতে গোনা কয়েকজন ধরা পড়লেও অধিকাংশ দূনীতিবাজরা থাকছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। ফলে কোন ভাবে রোধ হচ্ছেনা শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!