যশোরের বেনাপোল বন্দরে (Suntech Wpe200) নামে ভারতীয় ফেব্রিক্সের ২৩ রোলের একটি পণ্য চালান জব্দ করেছে কাস্টমস। ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে এ পণ্য চালানটি ভারতীয় ট্রাকে করে আনা হয় বেনাপোল বন্দরে। ১ আগস্ট পণ্য চালানটি ভারত থেকে এলেও তা ধরা পড়ে ২১ আগস্ট। এরপর সোমবার (২৩) আগস্ট বিষয়টি জানাজানি হয়।
একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বন্দরের ২২ নম্বর পণ্যাগার থেকে অবৈধ এ চালানটি জব্দ করা হয়। তবে, ঘটনাটি ধরা পড়ার পর পণ্যটি তাদের নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আমদানিকারকের প্রতিনিধিরা।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, ১ আগস্ট ২৩ রোল ফেব্রিক্সসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল সীমান্তের চেকপোস্টে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পণ্য বোঝাই ট্রাকটি বন্দরের ২২ নম্বর পণ্যাগারে আনলোড করেন রয়েল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি। আমদানিকারক স্পেক্টা সোলার পার্ক লিমিটেডের নাম লেখা ওই ডকুমেন্টসের সব তথ্যই ছিল ভুয়া।
খবরটি বেনাপোল শাখার এনএসআই কর্মকর্তাদের নজরে আসে। খবর পেয়ে ২১ আগষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেনাপোল কাস্টমসের সহায়তায় ২২ নম্বর পণ্যাগারে তল্লাশি চালায়। এসময় ভারতীয় ফেব্রিক্সের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় ডকুমেন্টস এ উলেখিত সব তথ্যই ভুয়া। এরপরে মালামাল জব্দ করা হয়। ২৩ আগষ্ট ঘটনাটি চাউর হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত আমদানিকারকের প্রতিনিধি রয়েল সিঅ্যান্ডএফ প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী তৌহিদুর রহমান জানান, তাদের নাম ব্যবহার করে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য আমদানি করেছেন। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না, বলে পণ্য পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম মালামাল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম