একশ’ ভরি সোনা চোরাচালান মামলায় আশানুর জামান হাসানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী বাবুল হোসেন। অভিযুক্ত হাসান বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মাহাবুর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে থেকে জানা যায়, গত বছরের ২ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা বেনাপোলের টেংরা গ্রামের বালুন্ডা-জামতলাগামী রাস্তার ভাগারিখা মোড়ে অবস্থান নেয়। সকাল ৯ টার দিকে একজন আরোহী মোটরসাইকেলযোগে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় থামার সংকেত দেয় বিজিবি। তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে আশানুর জামান হাসানকে আটক করা হয়। ওইসময় তার দেহ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কোমরে বাঁধা ব্যাগ বের করে দেয়। ব্যাগের ভেতর থেকে ১০টি সোনারবার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১০০ ভরি।
এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার আবুল কাশেম বাদী হয়ে পরদিন আটক আশানুরের বিরুদ্ধে চোরাচালান দমন আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি আশানুর জামান হাসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত আশানুর জামান হাসানকে আটক দেখানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি